রামচন্দ্রপুরে প্রথমবারের মতো কেজি স্কুল স্থাপন। হযরত শাহ জালাল (রঃ) ইসলামী একাডেমি।

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকায় প্রথমবারের মতো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আধুনিক কেজি স্কুল ‘হযরত শাহ জালাল (রঃ) ইসলামী একাডেমি’। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষ একটি মানসম্মত কেজি স্কুলের অপেক্ষায় ছিলেন। অবশেষে তাদের সেই আশার পূরণ ঘটেছে। স্কুলটি যাত্রার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে, এবং বর্তমানে ভর্তি চলছে, যা অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

গত শনিবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে, স্কুলের সার্বিক অগ্রগতি জানতে সেখানে যান আর আর টিভি নিউজ বাংলা থেকে মৌলভীবাজার জেলার প্রতিনিধি এবং SMTV Media-এর প্রতিষ্ঠাতা মোঃ মারুফ হোসেন। তিনি উপস্থিত থেকে শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মতামত সংগ্রহ করেন এবং স্কুলের পরিকল্পনা ও সুবিধাসমূহ তুলে ধরেন। কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে নাসারি থেকে ফোর ক্লাস পর্যন্ত পাঠদান শুরু হবে এবং বর্তমানে আনুষ্ঠানিকভাবে ভর্তি চলছে, যাতে এলাকার শিশুরা ঘরের কাছেই শিক্ষার সুযোগ পায়।

নতুনভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, স্কুলটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন আগামী ১৬ই ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উদ্বোধনকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, উদ্বোধনের দিন এলাকাবাসীর ব্যাপক উপস্থিতি স্কুলটির জন্য নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে।র মচন্দ্রপুরের অভিভাবকদের জন্য এটি একটি বড় স্বস্তির বিষয়। আগে তাদের ছোট ছোট সন্তানদের অনেক দূরে পাঠাতে হতো, যা ছিল সময়, নিরাপত্তা এবং খরচ সব দিক থেকেই কষ্টকর। এখন নিজ এলাকায় একটি ভালো কেজি স্কুল হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন সবাই।

একজন অভিভাবক বলেন আমরা আগে ছেলেমেয়েদের দূরে পাঠাতে দুশ্চিন্তায় থাকতাম। নিজের এলাকায় স্কুল হওয়ায় খুব ভালো লাগছে। ভর্তি চলছে শুনেই দ্রুত সন্তানকে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, আধুনিক পাঠ্যসূচির পাশাপাশি ইসলামী মূল্যবোধ, নৈতিকতা, শৃঙ্খলা, পরিচ্ছন্নতা ও চরিত্র গঠনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে আরও ক্লাস যুক্ত করার পরিকল্পনাও রয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘমেয়াদে এখান থেকেই উচ্চশিক্ষার ভিত্তি গড়ে তুলতে পারে।
স্থানীয় সমাজপতি, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা মনে করছেন, এই কেজি স্কুলটি রামচন্দ্রপুর এলাকায় শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। গ্রামের শিশুরা এখন আর দূরে যেতে বাধ্য হবে না, বরং ঘরের কাছেই নিরাপদ, মানসম্মত ও আধুনিক শিক্ষা পাবে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি চলছে, এবং ১৬ ডিসেম্বরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
