নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে মানববন্ধন

নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে চাচাতো ভাইয়ের জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার দক্ষিণ আলিয়ারা গ্রামের নিজবাড়ির সামনে থেকে বক্সগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক সদস্য আলাউদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সিএনজি অটোরিক্সায় তুলে নিয়ে চলন্ত গাড়ীতে মাথায় গুলি করে হত্যা করে সড়কের পাশে ফেলে দেয়ার ঘটনায় মানববন্ধন করেছে নিহতের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, গ্রামবাসী ও এলাকাবাসী। বুধবার সকালে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে প্রধান সড়কে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এলাকার সহস্্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত আলাউদ্দিন মেম্বারের ছেলে জোবায়েদ হোসেন রাজিম বাদী হয়ে ৫ই আগস্ট ২৫ জনকে আসামী করে নাঙ্গলকোট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি শেখ ফরিদ কে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন

দীর্ঘ ১৭ দিন পরও পুলিশ আর কোন আসামি কে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহত আলাউদ্দিন ছেলে জোবায়েদ হোসেন রাজিম,উপজেলা যুবনেতা সালেহ আহমেদ সালেহ, সৌদি প্রবাসী নুরু মোহাম্মদ,বক্সগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক তারেকুল ইসলাম ভূঁইয়া,সাবেক ইউপি সদস্য খায়ের আহমেদ, কামরুজ্জামান মিন্টু।

মানববন্ধনে বক্তারা আলাউদ্দিন মেম্বার হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার শেষে ফাঁসির দাবি জানান। এছাড়া বক্তারা আলাউদ্দিন মেম্বার হত্যাকান্ডে ঘটনার দিন থেকে প্রশাসন দৃশ্যমান কোন ভূমিকা রাখেনি দাবি করে অবিলম্বে বাকী আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানান

উল্লেখ্য, উপজেলার দক্ষিণ আলিয়ারা গ্রামে চাচাতো ভাইয়ের জানাজা শেষে একই গ্রামের নিজ বাড়িতে ফেরার পথে গত ৩ আগস্ট রবিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে বক্সগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক সদস্য আলাউদ্দিনকে (৫৫) সিএনজি অটোরিক্সায় করে তুলে নিয়ে চলন্ত গাড়ীতে মাথায় গুলি করে হত্যা করে । নিহত আলাউদ্দিন বক্সগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম সুরুজ মিয়ার ছেলে। আলিয়ারা গ্রামের আওয়ামী যুবলীগ নেতা শেখ ফরিদ এবং সালেহ আহাম্মদ মেম্বার ও নিহত আলাউদ্দিন মেম্বার গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ আদিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত ২৩ জুন নিহত আলাউদ্দিন মেম্বারের ভাই খায়ের আহম্মদ মেম্বারের গরু রশি ছিঁড়ে ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে নিহত আলাউদ্দিন মেম্বার গ্রুপের সাথে শেখ ফরিদ এবং সালেহ আহাম্মদ মেম্বার গ্রুপের পুনরায় দফায়-দফায় সংঘর্ষ, হামলা, ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে ৯টি মামলা হয়। সর্বশেষ গত রবিবার দুপুরে আলাউদ্দিন মেম্বারের চাচতো ভাই একই গ্রামের আবুল বাশারের জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গুলি কের হত্যা করে ঢালুয়া-নাঙ্গলকোট সড়কের চাঁন্দাইশ গ্রামে কবরস্থানের পাশে সিএনজি আটোরিক্সা থেকে ফেলে দেয়।